OIC-এ ধাক্কা পাকিস্তানের, পাশে নেই মুসলিম বিশ্ব!


ভারত-বিরোধী প্রস্তাবে ওআইসি-তে বাধা
পাকিস্তান পহেলগাঁও ঘটনার পর ভারতের বিরুদ্ধে ওআইসি-তে প্রস্তাব আনতে চাইলে, ইন্দোনেশিয়া, বাহরিন ও মিশর বাধা দেয়।

মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠতা
ইন্দোনেশিয়া সহ একাধিক মুসলিম দেশ কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে, এবং পাকিস্তানের চক্রান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে।

কূটনৈতিকভাবে কোণঠাসা পাকিস্তান
পাক-প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় ওআইসি মঞ্চেও ভারতের বিরুদ্ধে জনমত গঠন অসম্ভব হয়ে পড়ছে ইসলামাবাদের জন্য।


পহেলগাঁও ঘটনার পর ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক স্তরে আবারও প্রচারণায় নেমেছিল পাকিস্তান। তাদের লক্ষ্য ছিল অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশন (OIC)-এর মঞ্চকে ব্যবহার করে ভারতকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো। কিন্তু এবার পাকিস্তানের সেই প্রচেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়েছে।


OIC-এর পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের বৈঠকে পাকিস্তান ভারতবিরোধী একটি প্রস্তাব তুলতে চেয়েছিল। কিন্তু বৈঠকের আয়োজক দেশ ইন্দোনেশিয়া সরাসরি এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। শুধু তাই নয়, তাদের সঙ্গে একজোট হয় বাহরিন ও মিশর—যারা পাকিস্তানকে জানিয়ে দেয়, এমন কোনো প্রস্তাবের স্থান ওআইসি-তে নেই।


এই অবস্থান ভারতের জন্য যেমন কূটনৈতিক জয়, তেমনি পাকিস্তানের জন্য বড় ধাক্কা। বিশেষ করে, ইন্দোনেশিয়া যেহেতু বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ, তাদের অবস্থান পুরো ওআইসি-র মেজাজ পাল্টে দেয়।


ইন্দোনেশিয়া সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করেছে। রাষ্ট্রপতি প্রাবোও সুবিয়ান্তো ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে অতিথি ছিলেন। এমনকি দিল্লির অনুরোধে তিনি পাকিস্তান সফর স্থগিত করেছিলেন।


কাশ্মীর ইস্যুতেও ইন্দোনেশিয়া প্রকাশ্যে ভারতকে সমর্থন জানিয়েছে। অন্যদিকে, বাহরিন ও মিশরের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা সম্পর্কও এখন অনেক শক্ত।


এই ঘটনার মাধ্যমে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে—সন্ত্রাসবাদ বা একতরফা প্রচারণার বিরুদ্ধে এখন অনেক মুসলিম দেশ ভারতের পাশে দাঁড়াচ্ছে। পাকিস্তান যতই চেষ্টা করুক, ওআইসি-কে ভারতবিরোধী হাতিয়ার বানানো আর অতটা সহজ থাকছে না।


এটা শুধু পাকিস্তানের কূটনৈতিক পরাজয় নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের অবস্থান আরও দৃঢ় হওয়ার ইঙ্গিত।

Post a Comment

Previous Post Next Post