🔍 উপদেষ্টাদের পদত্যাগে চাপ:
বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিন গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছে।
📅 দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি:
ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার উপর গুরুত্ব দিয়েছে বিএনপি।
⚔️ সেনাপ্রধান ও বিএনপির সুর মিলে যাওয়ায় চাপ:
রাষ্ট্র সংস্কার ও করিডর ইস্যুতে সেনাপ্রধানের উদ্বেগ বিএনপির বক্তব্যের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় সরকারের অবস্থান আরও সংকটে।
রাজনৈতিক অঙ্গন ফের উত্তপ্ত। বিএনপির সাম্প্রতিক সংবাদ সম্মেলনে একাধিক দাবির মাধ্যমে সরকারকে প্রকাশ্য রাজনৈতিক চাপে ফেলে দিয়েছে দলটি। গুলশানে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির শীর্ষ নেতারা অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং তিনজন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন।
সরকারি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, মাহফুজ আলম এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানকে পদত্যাগে বাধ্য করার দাবি তুলে বিএনপি বলছে—এই পদক্ষেপই অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষ অবস্থান নিশ্চিত করতে পারে।
বিএনপির আরেকটি জোরালো দাবি ছিল—ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা। সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সময়মতো নির্বাচন এবং সঠিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা না মিললে সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে সহযোগিতা সম্ভব হবে না।
এই দাবির একদিন আগেই সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান একটি বক্তব্যে রাষ্ট্র সংস্কার, করিডর পরিচালনার দায়িত্ব এবং নির্বাচনের সময়কাল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তার বক্তব্যে বলা হয়, এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত কেবল একটি নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমেই নেওয়া উচিত। সেনাপ্রধানের বক্তব্য বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে যাওয়ায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে সরকার চাপে পড়েছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে আন্দোলনে নেমে নিজেই বিএনপির সমালোচনার মুখে পড়েছে। অন্যদিকে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে জানিয়েছেন, ড. ইউনূস নিজেও পদত্যাগ নিয়ে চিন্তায় আছেন কারণ রাজনৈতিক দলগুলোর অভিন্ন অবস্থান না থাকায় কাজ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরীর মতেও এখন সরকারের সময়ক্ষেপণ করার সুযোগ নেই। তার মতে, সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া স্পষ্ট করা এবং একটি বাস্তবসম্মত নির্বাচন রোডম্যাপ দেওয়া এখন সময়ের দাবি।
রাজনৈতিক বাস্তবতায়, এই মুহূর্তে সরকার যেকোনো ধরনের দ্বিধায় পড়লে তা রাজনৈতিক ভারসাম্যকে আরও নড়বড়ে করে তুলবে। সেনাবাহিনী ও প্রধান বিরোধীদলের এমন ঘনিষ্ঠ অবস্থান সরকারের কৌশলে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
Post a Comment