অন্তর্বর্তী সরকার সংকটে? উপদেষ্টাদের কড়া হুঁশিয়ারি


 অন্তর্বর্তী সরকারকে বাধাগ্রস্ত করতে কিছু রাজনৈতিক শক্তি ও গোষ্ঠী উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কর্মসূচি গ্রহণ করছে বলে বৈঠকে অভিযোগ আনা হয়।


উপদেষ্টা পরিষদ জানায়, দায়িত্ব পালনে যদি প্রতিকূলতা বাড়ে, তবে তারা জনগণের সামনে সব কারণ তুলে ধরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।


সরকার বিশ্বাস করে, নির্বাচন ও সংস্কার নিরবিচারে চালিয়ে যেতে হলে বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য ও জনসমর্থন অপরিহার্য।


জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) নিয়মিত সভা শেষে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ একটি গুরুত্বপূর্ণ অনির্ধারিত বৈঠক আয়োজন করে। সেখানে সরকারের ওপর অর্পিত তিনটি মূল দায়িত্ব—সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন, ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ এবং কাঠামোগত সংস্কার—নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। পরিষদের ভাষ্য অনুযায়ী, সরকারের এসব দায়িত্ব পালনের পথে কিছু গোষ্ঠী এবং রাজনৈতিক দল এমন কিছু কর্মসূচি ও বক্তব্য ছড়াচ্ছে, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অযৌক্তিক এবং এখতিয়ারবহির্ভূত। এসব কার্যক্রম সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে এবং প্রশাসনিক স্বাভাবিকতা ব্যাহত করছে।


বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ এও জানায়, সরকার দেশের গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় বদ্ধপরিকর। তবে, যদি এই গোষ্ঠীগুলোর কর্মকাণ্ড সরকারের দায়িত্ব পালনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়, এবং তা বিদেশি ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বহন করে, তাহলে সরকার সক্রিয়ভাবে জনসমক্ষে সব তথ্য উন্মোচন করবে। এমন পরিস্থিতিতে জনগণের মতামতের ভিত্তিতে গ্রহণ করা হবে ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত। পরিষদের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে ওঠে, সরকারের স্বকীয়তা ও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে গণ-অভ্যুত্থানের চেতনায় পথ চলাই তাদের উদ্দেশ্য।


পরিষদ মনে করে, সামগ্রিক জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় শুধু সরকারের একক প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়—প্রয়োজন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ, জনগণের আস্থা এবং সুস্পষ্ট অবস্থান। নির্বাচনকালীন সময়ে এই ধরনের ঐকমত্য সৃষ্টি করতে না পারলে, রাজনৈতিক অস্থিরতা দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা গণতন্ত্র ও উন্নয়ন দুইয়ের জন্যই হুমকি হতে পারে।

Post a Comment

Previous Post Next Post