পছন্দ নিজের, তাই পণ্য-সেবাও নিজের মতো করে চাই—এই মানসিকতা এখন ক্রেতাদের মধ্যে বাড়ছে চোখে পড়ার মতো। আগে যেখানে সবাই একই ধাঁচের পোশাক, জুতা, ফোন বা এমনকি খাবার কিনতেন, এখন মানুষ বলছেন—"একটু আলাদা চাই, আমার স্টাইলমতো।"
ফ্যাশন থেকে শুরু করে মোবাইল ফোন, খাবার, ঘরের সাজসজ্জা এমনকি সফটওয়্যার সেবাও—সবখানেই কাস্টমাইজেশনের চাহিদা বাড়ছে। কেউ হয়তো শাড়ির রঙটা একটু বদলে চান, কেউ আবার জুতার ডিজাইনে নিজের নাম খোদাই করে নিতে চান। কেউ চাইছেন ফাস্টফুডেও নিজের মতো করে কম মসলা বা গ্লুটেন-ফ্রি অপশন।
এই প্রবণতার পেছনে একদিকে আছে প্রযুক্তির হাত, অন্যদিকে আছে ব্যক্তিত্ব প্রকাশের ইচ্ছা। ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলো কাস্টম অপশন দিচ্ছে—বাইরের দেশে তো আগে থেকেই চলছিল, এখন দেশীয় ব্র্যান্ডগুলোও তাল মিলাচ্ছে।
ব্যাংকিং সেবা, মোবাইল অ্যাপ, এমনকি স্বাস্থ্যসেবা পর্যন্ত—সবখানেই মানুষ নিজের রুটিন, রুচি আর প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা চাইছেন। অনেকেই বলছেন, কাস্টমাইজড না হলে এখন আর ‘ভ্যালু ফর মানি’ মনে হয় না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা ভবিষ্যতের স্বাভাবিক দিক। যেহেতু মানুষের জীবনধারা এত বিচিত্র হয়ে গেছে, এক ফরমুলায় আর সব সমস্যার সমাধান চলে না। তাই ব্র্যান্ডগুলোও এখন একধরনের ‘ক্লায়েন্ট-ফার্স্ট’ চিন্তা নিয়ে এগোচ্ছে।
এখন আর শুধু ‘আমি কি চাই’—এই প্রশ্ন না, বরং ‘তারা আমাকে কীভাবে বুঝবে’—এই প্রতিযোগিতায় নামছে ব্যবসাগুলো।
Post a Comment