গাজা এখন যেন এক জীবন্ত মৃত্যুপুরী। জাতিসংঘ বলছে, প্রতি ২০ মিনিটে সেখানে কোনো না কোনো শিশু আহত হচ্ছে বা প্রাণ হারাচ্ছে। শুধু একটা সংখ্যাই যেন সব কিছু বলে দেয়—এই সংখ্যা শুনেই গলার কাছে একটা ভার জমে ওঠে।
এই ভয়াবহ অবস্থার পেছনে কেবল যুদ্ধ নয়, বরং আছে খাদ্য সংকট, ওষুধের অভাব আর চারদিকে ধ্বংস। জাতিসংঘ এমন অবস্থাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে দেখছে। তাদের বক্তব্য, এখন আর শুধু যুদ্ধ নয়, এটা শিশুদের বেঁচে থাকার লড়াই।
এর মধ্যেই, যুক্তরাষ্ট্রের এমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বক্তব্য দেওয়ায় এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই ঘটনায় শিক্ষাঙ্গনে বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের অধিকারের প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে, আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা পশ্চিম তীরে যেতে চেয়েও পারেননি। ইসরায়েল তাদের আটকে দিয়েছে। এমন ঘটনার ফলে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও কঠিন হয়ে উঠছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কেউ কেউ বলছেন, আঞ্চলিক উত্তেজনার আগুনে যেন আরও ঘি পড়ল।
তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা এখন খাদ্য। গাজায় খাদ্য সরবরাহ একরকম বন্ধই বলা চলে। অবরোধের কারণে ঢুকছে না খাদ্যসামগ্রী, পানি, ওষুধ—আর তাই দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
শিশুরা খেতে পাচ্ছে না, ওষুধ নেই, আশ্রয় নেই। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো একাধিকবার ত্রাণ পাঠানোর চেষ্টা করলেও নিরাপত্তা বা অনুমতির জটিলতায় তা পৌঁছাচ্ছে না। জাতিসংঘ বলছে, গাজায় এখন যে হারে অপুষ্টি বাড়ছে, তাতে হাজার হাজার শিশু ঝুঁকির মুখে রয়েছে।
.jpeg)
Post a Comment