রাজনৈতিক অস্থিরতা ও চাপের মধ্যে ২৪ মে অনুষ্ঠিত একনেক সভা শেষে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সভাপতিত্বে একটি বিশেষ বৈঠকে বসেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা। এই বৈঠকে বাইরে কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, যার ফলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দৃষ্টি পড়ে বৈঠকের গুরুত্বের দিকে।
বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে পরিষদ জানায়, নির্বাচন, বিচার এবং সংস্কারের মতো মৌলিক দায়িত্ব পালনের পথে নানা রকম অযৌক্তিক দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য এবং এখতিয়ার বহির্ভূত কর্মসূচি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। পরিষদের মতে, এসব কর্মকাণ্ড জনমনে সংশয় সৃষ্টি করছে এবং সরকারের কাজের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত করছে।
সরকারি অবস্থান স্পষ্ট করে পরিষদ জানায়, যদি পরিস্থিতি আরও জটিল হয় এবং দায়িত্ব পালন প্রায় অসম্ভব হয়ে ওঠে, তবে সরকার সব তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে পরাজিত রাজনৈতিক শক্তির ইন্ধন ও বিদেশি হস্তক্ষেপের সম্ভাবনাকেও অস্বীকার করা হয়নি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের জনপ্রত্যাশাকে ধারণ করে গঠিত হয়েছে। সে অনুযায়ী তারা নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কাজ করে যাচ্ছে। তবে যারা গোষ্ঠীস্বার্থে সরকারের অগ্রগতি থামাতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়েই প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
এই সংকটপূর্ণ সময়ে উপদেষ্টা পরিষদ রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে বড় বার্তা দিয়েছে—এই হলো বৃহত্তর ঐক্যের ডাক। তাদের মতে, সরকার ও বিরোধীদল, উভয়ের মধ্যে একটি সাধারণ ভিত্তিতে পৌঁছানোই এখন একমাত্র সমাধান, যাতে নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার সুসম্পন্ন হতে পারে।
.jpeg)
Post a Comment