![]() |
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার একটি ফাইল ছবি, যেখানে তাকে একটি আনুষ্ঠানিক পোশাকে গম্ভীর মুখে দেখা যাচ্ছে। |
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, দেশের পরবর্তী সরকারের অংশ হওয়ার কোনো ইচ্ছা তার নেই। গতকাল (মঙ্গলবার, জুন ১০, ২০২৫) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই ঘোষণা দেন। তার এই মন্তব্য দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়েছে, বিশেষ করে আসন্ন নির্বাচন এবং ক্ষমতার সম্ভাব্য পালাবদল নিয়ে।
প্রধান উপদেষ্টা তার সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তার একমাত্র লক্ষ্য একটি নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করা এবং সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা। তিনি জোর দিয়ে বলেন, "আমার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আমি আর কোনো সরকারি পদে থাকব না। আমার দায়িত্ব একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা এবং জনরায়কে সম্মান করা।"
তার এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এলো, যখন দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত। বিরোধী দলগুলো একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে অনড়। প্রধান উপদেষ্টার এই মন্তব্য বিরোধী দলগুলোর কাছে ইতিবাচক বার্তা দিতে পারে, কারণ এটি ক্ষমতা ধরে রাখার কোনো ইচ্ছার ইঙ্গিত দেয় না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণা দেশে একটি শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের পথ খুলে দিতে পারে। তবে, তার এই সিদ্ধান্তের পেছনে কী কারণ, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। কেউ কেউ মনে করছেন, আন্তর্জাতিক চাপ এবং দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা তাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। আবার কেউ কেউ এটিকে একটি দূরদর্শী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন, যা ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য সহায়ক হতে পারে।
এই ঘোষণার পর পরবর্তী সরকার গঠন এবং রাজনৈতিক জোট নিয়ে নতুন করে হিসাব-নিকাশ শুরু হয়েছে। দেশের সাধারণ জনগণ একটি শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক ক্ষমতার পালাবদলের প্রত্যাশায় রয়েছে।
তারিখ: June 11, 2025
লেখক: Kazi Fahsin
প্রকাশক:
Post a Comment