ইরানের সঙ্গে চুক্তির প্রস্তাব ট্রাম্প প্রশাসনের: ৩০ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে পরমাণু সমৃদ্ধকরণ বন্ধের শর্ত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের পতাকা পাশাপাশি, যা কূটনৈতিক আলোচনার প্রতীক।
ইরানের সঙ্গে চুক্তির প্রস্তাব ট্রাম্প প্রশাসনের: ৩০ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে পরমাণু সমৃদ্ধকরণ বন্ধের শর্ত

 ঢাকা, ২৭ জুন ২০২৫ —


ইরানকে ৩০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তির প্রস্তাব ট্রাম্প প্রশাসনের, শর্ত পরমাণু সমৃদ্ধকরণ সম্পূর্ণ বন্ধ


চরম উত্তেজনার মধ্যেই ইরানের প্রতি এক ব্যতিক্রমধর্মী প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ইরান যদি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করে, তাহলে দেশটি পাবে ৩০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা, নিষেধাজ্ঞা শিথিল এবং জব্দ হওয়া বৈদেশিক তহবিলের কিছু অংশ ব্যবহারের অনুমতি।


এই প্রস্তাবের আওতায় ইরান একটি বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচি চালু রাখতে পারবে, তবে তা শুধুমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হবে। প্রস্তাবিত কর্মসূচিটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মডেল অনুসরণে পরিচালিত হবে, যাতে ইউরেনিয়াম বিদেশ থেকে আমদানি করা হবে, দেশে সমৃদ্ধকরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।


যুক্তরাষ্ট্র এই আলোচনায় নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী হলেও, আর্থিক সহায়তার বড় একটি অংশ আরব মিত্রদের কাছ থেকে আসবে বলে আশা করছে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এই অর্থ প্রদান করবে না বলেও স্পষ্ট করা হয়েছে।


চুক্তির আরও একটি দিক হলো — ৬ বিলিয়ন ডলারের জব্দ তহবিল ব্যবহারের অনুমতি। এর পাশাপাশি কিছু নির্বাচিত নিষেধাজ্ঞা শিথিলেরও প্রস্তাব রয়েছে, যার মাধ্যমে ইরান তার অর্থনৈতিক সংকট থেকে কিছুটা মুক্তি পেতে পারে।


এই প্রস্তাব এমন এক সময়ে এসেছে, যখন ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নতুন করে উত্তপ্ত হয়েছে — বিশেষ করে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় সাম্প্রতিক মার্কিন হামলার পর। ট্রাম্প প্রশাসনের এই নতুন উদ্যোগকে কেউ কেউ ইতিবাচক কূটনৈতিক কৌশল হিসেবে দেখছেন, আবার অনেক বিশ্লেষক বলছেন, এটি ইরানকে কৌশলগতভাবে আটকে রাখার একটি পদক্ষেপ।


যদিও এখনো ইরানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি, তবে এই প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য হলে তা মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।

Post a Comment

Previous Post Next Post