1. সেনাপ্রধানের সতর্ক বার্তা ও ভূমিকা
2. রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা
3. বিশেষজ্ঞ ও নাগরিকদের প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রেক্ষাপটে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বক্তব্য নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, রাষ্ট্রের স্পর্শকাতর বিষয়ে সশস্ত্র বাহিনীকে অন্ধকারে রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া অগ্রহণযোগ্য এবং তা জাতীয় স্বার্থে বিপজ্জনক হতে পারে।
সেনাপ্রধানের মতে, মানবিক করিডর, নির্বাচন এবং সংস্কার—এইসব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে সশস্ত্র বাহিনীর মতামত না নিয়ে এগোনো একটি দুর্বল রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতিচ্ছবি। তিনি সতর্ক করেছেন, বাহিনী কখনো সার্বভৌমত্বহানিকর কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত হবে না এবং কাউকে যুক্ত হতেও দেবে না।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সাবেক সামরিক কর্মকর্তা এবং সচেতন নাগরিকরা সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যকে ইতিবাচক ও সময়োপযোগী বলে মনে করছেন। তাঁদের মতে, জাতীয় নিরাপত্তা এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। অথচ সংস্কার পরিকল্পনায় তাদের অবহেলিত রাখলে রাষ্ট্রের "ন্যাশনাল পাওয়ার" দুর্বল হয়ে পড়ে।
সাবেক সচিব ও সামরিক বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেছেন, সবার দায়িত্ব যেন তারা পালন করতে পারে—এটা নিশ্চিত করাটাই একটি সুস্থ রাষ্ট্র পরিচালনার শর্ত। শুধু সেনাবাহিনী নয়, প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং সাধারণ জনগণ—সকলকেই রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে অন্তর্ভুক্ত করা দরকার।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সেনাপ্রধানের আহ্বান ছিল একান্তভাবে প্রয়োজনীয় ও গঠনমূলক। তাঁর মতে, নির্বাচন ডিসেম্বরে অবশ্যই হওয়া উচিত এবং এরপর সেনাবাহিনীকে তার মূল দায়িত্বে ফিরিয়ে নেওয়া দরকার। এর চেয়ে দীর্ঘ সময় বাহিনীকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে রাখলে বাহিনীর কাঠামোগত ক্ষতি হতে পারে।
বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের প্রেক্ষাপটে সশস্ত্র বাহিনীকে বাইরে রেখে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া মানেই রাষ্ট্রকে দুর্বল করা। অতএব, ‘সশস্ত্র বাহিনীকে অন্ধকারে রাখা’ না শুধু অনুচিত, বরং এটি এক প্রকার রাজনৈতিক অদূ
রদর্শিতা।
Post a Comment