বিশ্বের শীর্ষ ধনী এবং টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন থেকে তার দায়িত্ব শেষ করছেন।
আজ (বুধবার, ২৮ মে) ইলন মাস্ক নিজেই তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্ট করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
মাস্ককে ট্রাম্প প্রশাসন মূলত 'বিশেষ সরকারি কর্মচারী' (Special Government Employee - SGE) হিসেবে নিয়োগ করেছিল। এই পদবির আওতায় একজন ব্যক্তি বছরে সর্বোচ্চ ১৩০ দিন সরকারের জন্য কাজ করতে পারেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর মাস্ককে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সে হিসেবে মে মাসের শেষেই তার নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হচ্ছে। অর্থাৎ, এই পদত্যাগ তার নির্ধারিত মেয়াদ শেষেরই অংশ।
যদিও এই পদত্যাগের পেছনের কারণ হিসেবে মাস্কের ব্যক্তিগত ব্যবসা এবং তার প্রতিষ্ঠানগুলোতে আরও বেশি সময় দেওয়ার প্রয়োজনীয়তাকে উল্লেখ করা হচ্ছে, তবে এর আগেও কিছু গুঞ্জন উঠেছিল। যেমন, কিছু রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে মাস্ক ট্রাম্প প্রশাসনের আগ্রাসী শুল্কনীতি নিয়ে কিছু অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। এছাড়াও, তার দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য ছিল সরকারের মধ্যে 'উদ্যোক্তার দৃষ্টিভঙ্গি' নিয়ে আসা এবং সরকারি ব্যয় কমানো। তিনি বিশ্বাস করেন যে তিনি এই লক্ষ্য পূরণে সফল হয়েছেন।
মাস্কের এই পদত্যাগের পর হোয়াইট হাউস বা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। তবে মাস্কের এই পদক্ষেপ মার্কিন রাজনীতিতে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা এবং তাদের স্বাধীন কার্যক্রমে সরকারি হস্তক্ষেপের বিষয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে। যদিও ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে মাস্ক এবং তার বিভাগের কার্যক্রমে তারা সন্তুষ্ট ছিলেন, তবে উভয়েরই এমনটা মনে হয়েছে যে এবার মাস্কের সরে দাঁড়ানোর সময় হয়েছে।
তবে, ইলন মাস্কের এই পদত্যাগের অর্থ এই নয় যে ট্রাম্পের সঙ্গে তার সব সম্পর্ক ছিন্ন হচ্ছে। তিনি সম্ভবত সরকারের বাইরে থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একজন উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে যাবেন, যেমনটা অনেক বিজনেস টাইকুন করে থাকেন। এখন দেখার বিষয়, এই পদত্যাগের পর মাস্ক তার নিজস্ব ব্যবসায়িক উদ্যোগে কতটা মনোযোগী হন এবং মার্কিন রাজনীতিতে তার ভূমিকা কী দাঁড়ায়।
Post a Comment