জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কিংবা অনিয়ম করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না এবং প্রত্যেকের জবাবদিহি করতে হবে। এই হুঁশিয়ারি জামায়াতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
সম্প্রতি (গত বুধবার, ২৮ মে) দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সভায় জামায়াতের আমির এই নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, "দলের প্রতিটি সদস্যকে শৃঙ্খলার মধ্যে থাকতে হবে। আদর্শ ও নীতির বাইরে গিয়ে কেউ যদি ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা করেন বা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মনে রাখবেন, দলের নীতি ও আদর্শ সবার ঊর্ধ্বে।"
ড. শফিকুর রহমান তার বক্তব্যে সাংগঠনিক দুর্বলতা, বিভেদ এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, "জামায়াত একটি সুসংগঠিত এবং আদর্শভিত্তিক দল। এখানে ব্যক্তিগত খেয়াল-খুশি বা উচ্ছৃঙ্খলতার কোনো সুযোগ নেই। প্রতিটি কাজ দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হতে হবে। শৃঙ্খলা ভাঙলে প্রত্যেককে জবাবদিহি করতে হবে—সে যেই হোক না কেন।"
পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, জামায়াতের আমিরের এই কঠোর হুঁশিয়ারি দলের অভ্যন্তরে চলমান কিছু সমস্যা বা অসঙ্গতির ইঙ্গিত। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক পটপরিবর্তন এবং সরকারের সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক নিয়ে দলের ভেতর কিছু ভিন্নমত তৈরি হয়েছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। আমিরের এই বার্তা সম্ভবত সেসব সমস্যা নিরসনে এবং দলের ঐক্য ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে।
এছাড়াও, তিনি দলের নেতা-কর্মীদের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য প্রস্তুত থাকারও নির্দেশ দেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় জামায়াত নতুন কৌশল নিয়ে এগোতে চাইছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আমিরের এই কঠোর বার্তা দলের তৃণমূল থেকে শীর্ষ পর্যায়ের সব নেতা-কর্মীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, এই হুঁশিয়ারি দলের মধ্যে কতটা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারে এবং জামায়াত ভবিষ্যতে কী ধরনের রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করে।
Post a Comment