উত্তর প্রদেশে ‘গোরক্ষক’ বাহিনীর আবারো হামলা: মহিষের মাংস নিয়ে ফিরছিলেন, নির্মম মারধরে ৪ মুসলিম তরুণ আহত



 
  • উত্তর প্রদেশের আলিগড় জেলায় চারজন মুসলিম তরুণকে সন্দেহভাজন ‘গোরক্ষক’ বাহিনী বেদম মারধর করেছে, আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

  • ভিডিওতে দেখা যায়, তরুণদের জামাকাপড় খুলে ধারালো অস্ত্র, লাঠি, রড দিয়ে মারধর করা হয়। গাড়ি উল্টে আগুন দেওয়া হয়, অর্থ দাবি করে ব্যর্থ হয়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।

  • কারখানাটি শুধুমাত্র মহিষের মাংসের লাইসেন্সপ্রাপ্ত—যা ফ্যাক্টচেকার মুহাম্মদ জুবায়ের প্রমাণসহ প্রকাশ করেছেন। পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।


‘গোরক্ষা’র নামে নির্যাতন: উত্তর প্রদেশে আবারও মুসলিম তরুণদের নির্মমভাবে পেটালো হিন্দুত্ববাদী বাহিনী

ভারতের উত্তর প্রদেশ আবার আলোচনায়, আবারো ধর্মীয় সহিংসতার চেহারায়।
২৬ মে ২০২৫, ভারতের আলিগড় জেলায় চারজন মুসলিম তরুণকে গরুর মাংস বহনের সন্দেহে ‘গোরক্ষক’ বাহিনী নির্মমভাবে পিটিয়েছে। আহতরা হলেন আরবাজ, আকিল, কাদিম ও মুন্না খান। এদের মধ্যে আকিলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আহতদের পরিবারের ভাষ্যমতে, তাঁরা “আল আম্মার ফ্রোজেন ফুডস” নামের কারখানা থেকে মহিষের মাংস কিনে ফিরছিলেন, যার বৈধ সরকারি অনুমোদন রয়েছে। পথিমধ্যে তথাকথিত গোরক্ষকেরা তাঁদের পথরোধ করে টাকা দাবি করে। রাজি না হওয়ায় শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন। গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

ভিডিওতে দেখা গেছে—তরুণদের নগ্ন করে ধারালো অস্ত্র, লাঠি, ইট দিয়ে মারা হচ্ছে, আর পুলিশ সেখানে উপস্থিত থেকেও নিরব দর্শক।

মামলার এফআইআরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা রাজকুমার আরিয়াবিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের নামও রয়েছে।

সমাজবাদী পার্টির নেতা মনোজ যাদব বলছেন, “এই সব ঘটনার পেছনে আসল উদ্দেশ্য চাঁদাবাজি, ধর্ম নয়।”

ফ্যাক্টচেকার মুহাম্মদ জুবায়ের তাঁর পোস্টে আল আম্মার ফ্যাক্টরির বৈধতা ও ‘Buffalo meat only’ অনুমোদনের দলিল দেখিয়ে প্রমাণ করেছেন—এই কারখানার সঙ্গে গরুর মাংসের কোনো সম্পর্ক নেই।

উল্লেখ্য, ভারতের অনেক রাজ্যে গরুর মাংস নিষিদ্ধ হলেও মহিষের মাংস বৈধ। কিন্তু এই আইনের আড়ালে বহু নিরপরাধ মুসলিম নাগরিক বারবার ‘গোরক্ষা’র নামে সহিংসতার শিকার হচ্ছেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post