বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা সম্প্রতি জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত ৩০তম নিক্কেই ফোরামে যোগ দিয়েছেন।
এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী এই অর্থনৈতিক ফোরামের এবারের মূল প্রতিপাদ্য ছিল 'এশিয়ার ভবিষ্যৎ: কীভাবে স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতি অর্জন করা যায়'। এই ফোরামে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান, নীতিনির্ধারক, অর্থনীতিবিদ এবং শিল্প নেতারা অংশ নেন। প্রধান উপদেষ্টা ফোরামের বিভিন্ন অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের ভূমিকা তুলে ধরেন।
তার বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক সম্ভাবনার ওপর জোর দেন এবং এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে আঞ্চলিক সংযোগ এবং বাণিজ্যের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত। তিনি জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের কথাও উল্লেখ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার এই ফোরামে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কূটনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর মাধ্যমে তিনি কেবল জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেননি, বরং বৃহত্তর এশীয় অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নেও বাংলাদেশের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এই ফোরামে আলোচনার মূল বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার প্রভাব, ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ। প্রধান উপদেষ্টা এইসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পারস্পরিক সহযোগিতা এবং উদ্ভাবনী সমাধানের ওপর জোর দেন। তিনি এশিয়ার দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান, যাতে এই অঞ্চল স্থিতিশীলতা বজায় রেখে অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জন করতে পারে।
সব মিলিয়ে, ৩০তম নিক্কেই ফোরামে প্রধান উপদেষ্টার অংশগ্রহণ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক নেতৃত্ব প্রদর্শনের একটি সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
Post a Comment