সংক্রমণমুক্ত ও নিরাপদ পিরিয়ড নারীর অধিকার


 বাংলাদেশে মাসিক স্বাস্থ্যসুরক্ষা এখনও অনেক নারীর কাছে অধরাই থেকে গেছে। বিশেষ করে নিম্নআয়ের নারীরা স্যানিটারি পণ্য কিনতে অক্ষম হওয়ায় কাপড় কিংবা পুরাতন উপকরণ ব্যবহার করতে বাধ্য হন। এই প্রবণতা শুধু অস্বাস্থ্যকরই নয়, মারাত্মক সংক্রমণ ও রোগের আশঙ্কাও বহন করে। গার্মেন্টস শ্রমিক বা গ্রামীণ নারীদের জন্য এই পণ্য সহজলভ্য না হলে স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত রাখা কঠিন।

সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো একযোগে কাজ করলে স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি প্যাড সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করে তোলা সম্ভব। ভর্তুকি দেওয়া, ট্যাক্স অব্যাহতি, এবং স্কুল-কলেজে ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন নারীর এই মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যবিষয়ক পাঠ অন্তর্ভুক্তি কিশোরীদের সচেতনতা বাড়াতে পারে। পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যম সম্মিলিতভাবে ‘পিরিয়ড’কে স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করলে সামাজিক ট্যাবু দূর হবে এবং মেয়েরা আরও আত্মবিশ্বাসী হবে।

অন্যদিকে, প্যাডের মান নিয়ন্ত্রণ ও রিসাইক্লিং ব্যবস্থা না থাকায় অনেক নারী পরিবেশের ক্ষতি করেও অনভিপ্রেত স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েন। পরিবেশবান্ধব ও জীবাণুমুক্ত প্যাড উৎপাদন উৎসাহিত করতে হলে সরকারকে নীতিগত সহায়তা দিতে হবে। সচেতনতা বাড়ানো ও যৌথ উদ্যোগ ছাড়া এই সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধান সম্ভব নয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post