রাজধানীর তুরাগে চার মাস আগে নিখোঁজ হওয়া পরিবহন ব্যবসায়ী আনারুল হোসেনকে খুন করে বাস ডিপোতেই পুঁতে রাখা হয়েছিল।
গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন—চালক ও নিরাপত্তাকর্মী—জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পরিবার ১৭ জানুয়ারি নিখোঁজের পর জিডি করলেও চার মাস পর সন্দেহভাজনদের তথ্যের ভিত্তিতে লাশ উদ্ধার হয়।
রাজধানীর তুরাগে চার মাস আগে নিখোঁজ হওয়া পরিবহন ব্যবসায়ী আনারুল হোসেন শিকদারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি ১৭ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন, যার পরদিন তুরাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন তাঁর পরিবার। রোববার (২৫ মে) তুরাগ এলাকার একটি বাস ডিপো থেকে তাঁর মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তথ্য অনুযায়ী, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ছিল বাস ডিপোর চালক ও নিরাপত্তাকর্মী। তারা মিলে আনারুল হোসেনকে হত্যা করে এবং লাশ গুম করতে বাস ডিপোর ভেতরেই পুঁতে রাখে। পুলিশের দাবি, সম্প্রতি সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা জানতে পারে তারা।
গ্রেপ্তার তিনজনের দেখানো স্থান থেকে পুলিশ আনারুলের লাশ উদ্ধার করে। দীর্ঘদিন পর লাশ উদ্ধার হলেও পুলিশ এই ঘটনাকে গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে। পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মুহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পুরো ঘটনার বিস্তারিত জানানো হবে।
এই ঘটনায় এলাকায় শোক ও উদ্বেগ বিরাজ করছে। দীর্ঘ চার মাস পর একজন নিখোঁজ ব্যক্তির এমন করুণ পরিণতি অনেককেই নাড়া দিয়েছে। পরিবারের সদস্যরা চূড়ান্ত বিচার দাবি করেছেন।
Post a Comment