ব্যাঙ্গালুরু, ৩১ মে ২০২৫ – ভারতের তেলেঙ্গানায় অনুষ্ঠিত ৭২তম বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় সবাইকে পেছনে ফেলে মুকুট জিতে নিলেন থাইল্যান্ডের ওপাল সুশাতা চুয়াংস্রি। ২১ বছর বয়সী এই সুন্দরীই প্রথম থাই নারী হিসেবে বিশ্বসুন্দরীর খেতাব জিতে ইতিহাসে নাম লেখালেন। গতকাল, শনিবার (৩১ মে) অনুষ্ঠিত জমকালো গ্র্যান্ড ফিনালেতে তিনি বিশ্বের ১০৮ জন প্রতিযোগীকে হারিয়ে এই গৌরব অর্জন করেন। গতবারের বিশ্বসুন্দরী চেক প্রজাতন্ত্রের ক্রিস্টিনা পিস্কোভা তাকে মুকুট পরিয়ে দেন।
সুশাতা সম্পর্কে বিস্তারিত:
- পূর্ণ নাম ও ডাক নাম: তার পুরো নাম সুশাতা চুয়াংস্রি। তবে তিনি 'ওপাল' নামেই বেশি পরিচিত।
- জন্ম ও জন্মস্থান: সুশাতার জন্ম ২০ সেপ্টেম্বর ২০০৩ সালে, থাইল্যান্ডের ফুকেট প্রদেশে। তার বাবা থানেত ডনকামনার্ড এবং মা সুপাত্রা চুয়াংস্রি ফুকেট প্রদেশের থালাংয়ে একটি ব্যক্তিগত ব্যবসা পরিচালনা করেন।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা: তিনি থাইল্যান্ডের স্বনামধন্য থাম্মাসাত বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্রী। রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রতি তার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে।
- পেশা: মডেলিংয়ের সাথে যুক্ত।
- উচ্চতা: তিনি ১.৮০ মিটার (৫ ফুট ১১ ইঞ্চি) লম্বা।
- ভাষাগত দক্ষতা: থাই ভাষার পাশাপাশি তিনি ইংরেজি এবং চীনা ভাষাতেও সাবলীল।
সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার অভিজ্ঞতা:
বিশ্বসুন্দরীর মুকুট জেতার আগে সুশাতার সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার মঞ্চে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে:
- ২০২২ সালে মিস ইউনিভার্স থাইল্যান্ড: ১৮ বছর বয়সে তিনি মিস ইউনিভার্স থাইল্যান্ড ২০২২ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দ্বিতীয় রানার-আপ হয়েছিলেন।
- ২০২৪ সালে মিস ইউনিভার্স থাইল্যান্ড: এরপর ২০২৪ সালে তিনি মিস ইউনিভার্স থাইল্যান্ড খেতাব জেতেন। এই প্রতিযোগিতায় তিনি 'মিস চার্মিং ট্যালেন্ট' এবং 'মিস বিউটি অ্যান্ড কনফিডেন্স'-সহ একাধিক বিশেষ পুরস্কারও লাভ করেন।
- মিস ইউনিভার্স ২০২৪: মিস ইউনিভার্স থাইল্যান্ড জেতার পর তিনি মেক্সিকো সিটিতে অনুষ্ঠিত মিস ইউনিভার্স ২০২৪ প্রতিযোগিতার মূল পর্বে থাইল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেন। সেখানে ১২৫টি দেশের প্রতিযোগীর মধ্যে তিনি তৃতীয় রানার-আপের সম্মান অর্জন করেন।
- মিস ওয়ার্ল্ড থাইল্যান্ড ২০২৫: ২৫ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে তাকে মিস ওয়ার্ল্ড থাইল্যান্ড ২০২৫ হিসেবে মনোনীত করা হয়, যা তাকে বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় থাইল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেয়।
- বিশ্বসুন্দরী ২০২৫: অবশেষে তিনি ৭২তম বিশ্বসুন্দরীর খেতাব অর্জন করে থাইল্যান্ডের জন্য নতুন ইতিহাস তৈরি করলেন।
সুশাতা তার বুদ্ধিমত্তা, সৌন্দর্য এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে বিচারকদের মুগ্ধ করেছেন। থাইল্যান্ডের প্রথম নারী হিসেবে বিশ্বসুন্দরীর মুকুট জয়ের এই ঘটনা তার দেশের জন্য এক বিশাল অর্জন।
Post a Comment