অটোপাসের দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ওপর হামলা

হামলার ঘটনা: উপাচার্যের ওপর শিক্ষার্থীদের হামলার বিশদ বিবরণ

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া: অটোপাসের বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের অবস্থান

আইনি ব্যবস্থা: মামলার প্রস্তুতি এবং পরবর্তী পদক্ষেপ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (পাস) ২০২২ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে অটোপাসের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন। বুধবার দুপুরে গাজীপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে তাদের আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে, এবং এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম আমানুল্লাহকে হামলার শিকার হতে হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ করতে শুরু করেন। একসময় উত্তেজনা এতটাই বেড়ে যায় যে, কয়েকজন শিক্ষার্থী সরাসরি উপাচার্যকে ঘিরে হামলা চালান। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে যে, উপাচার্য সামান্য আহত হয়েছেন তবে তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর নয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, অটোপাসের কোনো সুযোগ নেই। তারা জানায়, করোনা মহামারির কারণে কিছু বিশেষ সুবিধা যেমন গ্রেস মার্কস এবং খাতা পুনর্মূল্যায়ন সুবিধা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে অটোপাসের কোনো ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব নয়। তবে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে অবিচল রয়েছেন এবং আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ ঘটনায় গাছা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে, যদিও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ এখনও দাখিল হয়নি। প্রশাসন শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনতে পারে।

অটোপাসের দাবিতে এই আন্দোলনটি শিক্ষাঙ্গনে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রশাসন তাদের ভবিষ্যত নিয়ে যথেষ্ট সংবেদনশীল নয়, অন্যদিকে প্রশাসনের যুক্তি হলো, শিক্ষার মান বজায় রাখা ছাড়া অন্য কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব নয়।

এ ঘটনার ফলে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার সামগ্রিক পরিস্থিতি নতুন করে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি প্রশাসনের কঠোর অবস্থান, দুই বিপরীতমুখী মতামত—এই সংঘাত কোথায় গিয়ে শেষ হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post