আত্রাই বাঁধ বিতর্কে উত্তাল সীমান্ত: বাংলাদেশ-মমতার বাকযুদ্ধ চরমে!


 মমতার অভিযোগ: আত্রাই বাঁধ ভাঙার জন্য সরাসরি বাংলাদেশকে দায়ী করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।


দুর্নীতি প্রসঙ্গ: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন।


সীমান্তে শঙ্কা: স্থানীয়দের জীবনে বিপর্যয়, পানি সংকট ও বন্যার ভয়।


পশ্চিমবঙ্গের বালুরঘাটে আত্রাই নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক আলোড়ন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দুর্ঘটনার জন্য সরাসরি বাংলাদেশের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। জলপাইগুড়ির প্রশাসনিক সভায় তিনি বলেন, "সীমান্তবর্তী দেশ দুটো মিলে বাঁধ করেছে, যার জন্য আমাদের কাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছে।"


আত্রাই নদীর বাঁধটি প্রায় ৩০ কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত হলেও ফেব্রুয়ারির পর মে মাসে আবার ভেঙে যায়। মমতা সরকারের দাবি—ভারত সরকারের অবহেলা ও প্রতিবেশী দেশের হস্তক্ষেপই এই বিপর্যয়ের মূল কারণ।


এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, বাঁধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে বাড়ির রড, যা চরম দুর্নীতির প্রমাণ। তিনি এর তদন্ত দাবি করেন। তবে বালুরঘাট পৌরসভার চেয়ারম্যান এটিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলেই দাবি করেন।


এই মুহূর্তে সীমান্ত এলাকার মানুষ চরম উদ্বেগে। পানির সংকট, শুষ্ক মৌসুমে কৃষি বিপর্যয়, ও বর্ষায় বন্যার আশঙ্কা তাঁদের দৈনন্দিন জীবনে চাপ সৃষ্টি করছে। আত্রাই নদী যেহেতু বাংলাদেশ হয়ে ভারতে প্রবেশ করে এবং আবার বাংলাদেশেই ফিরে যায়, তাই দুই দেশেই এর প্রভাব পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।


মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি—"বাংলা নিয়ে হস্তক্ষেপ করলে, আমরাও নিঃশ্বাস ফেলতে জানি"—এই বক্তব্য নতুন করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সম্পর্ককে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post