নয়াপল্টনে 'তারুণ্যের সমাবেশ', ভিড়ে ঠাসা বিএনপি কার্যালয়



রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আজ বুধবার (২৮ মে, ২০২৫) অনুষ্ঠিত হচ্ছে 'তারুণ্যের সমাবেশ'। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই দলীয় নেতা-কর্মীদের ঢল নেমেছে নয়াপল্টন এলাকায়। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল—বিএনপির এই তিন সহযোগী সংগঠনের যৌথ আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সমাবেশকে ঘিরে সকাল থেকেই নয়াপল্টন এলাকা উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে। ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতা-কর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন হাতে নিয়ে জড়ো হচ্ছেন। তাদের মুখে বিভিন্ন স্লোগান, যা সরকারের পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিকে সামনে আনছে। নয়াপল্টনে অবস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং এর সামনের সড়ক যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসছেন বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা, যা মূল সমাবেশে যোগ দিচ্ছে।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই সমাবেশ 'তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ' হিসেবে চিহ্নিত। এর আগে বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠনগুলো দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিকভাবে তারুণ্যের সমাবেশ ও সেমিনার আয়োজন করেছে। চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়ায় এই ধরনের কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকার এই সমাবেশ দিয়েই তাদের এই ধারাবাহিক কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটছে।

বিএনপির এই তিন অঙ্গ সংগঠন তরুণদের কাছে টানতে মে মাসজুড়ে নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল। তাদের মূল লক্ষ্য হলো তরুণদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়ানো এবং তাদের অধিকার নিয়ে কথা বলা। এর আগে বিভিন্ন সেমিনারে তরুণদের কর্মসংস্থান এবং রাষ্ট্রীয় নীতিতে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম এর আগে জানিয়েছিলেন, বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে প্রথম ১৮ মাসের মধ্যে এক কোটি তরুণের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।

নয়াপল্টনের এই সমাবেশকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে সমাবেশস্থল ও এর আশপাশের এলাকায়। তবে, এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। দলের নেতা-কর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই সমাবেশ থেকে তরুণদের জন্য নতুন কী বার্তা আসে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।


Post a Comment

Previous Post Next Post