![]() |
জান্নাতুল হক ‘শৈলীর ছোঁয়া’ ও ‘এজিউর কুইজিন’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সফল ই–কমার্স উদ্যোক্তা হয়েছেন এবং ১০০–এর বেশি নারী উদ্যোক্তাকে বিনিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।
-
তিনি নারী উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, মানসিক সহায়তা এবং বাজারে প্রবেশে সহায়তা করে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করেছেন।
-
ভবিষ্যতে তিনি কো–ওয়ার্কিং স্পেস ও সমন্বিত সাপ্লাই চেইন প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছেন, যেখানে ছোট উদ্যোক্তারা একত্রে কাজ করতে পারবেন।
নারীর ক্ষমতায়ন এখন আর শুধু একটি আন্দোলনের নাম নয়—এটি আজ অনেক বাস্তব উদ্যোক্তার হাত ধরে সমাজে দৃষ্টান্ত তৈরি করছে। তেমনই একজন হলেন জান্নাতুল হক, যিনি একজন সফল ফিমেল উদ্যোক্তা, ই-কমার্স এক্সপার্ট এবং ১০০–এর বেশি নারী উদ্যোক্তার জন্য গাইড ও সহায়কের ভূমিকা পালন করছেন।
২০১৩ সালে মাত্র একটি ফেসবুক পেজ দিয়ে শুরু করেছিলেন তিনি, যেখানে তিনি ‘আমান্দ ফ্যাশন’ নামে কাপড় বিক্রি করতেন। সেখান থেকে যাত্রা শুরু করে ধাপে ধাপে তিনি গড়েছেন ‘শৈলীর ছোঁয়া’ ও পরবর্তীতে ‘এজিউর কুইজিন’—যার সিইও হিসেবে আজ তিনি সফলভাবে কাজ করছেন। ব্যবসার প্রতি আগ্রহ জন্মায় তাঁর স্বামী আশরাফ উদ্দিনের অনুপ্রেরণায়, যিনি নিজেও একজন প্রকৌশলী ও ব্যবসায়ী।
তাঁর সবচেয়ে বড় অবদান, নারী উদ্যোক্তা তৈরির মিশন। তিনি বিশ্বাস করেন, নারীরা যখন অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হন, তখন তাঁদের কণ্ঠস্বর সমাজে বেশি গুরুত্ব পায়। এই বিশ্বাস থেকেই তিনি ১০০ জন নারী উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলেন ই–কমার্স ও এফ–কমার্সে। কোভিডের মতো সংকটকালেও তাঁর সহায়তা অনেক নারী উদ্যোক্তাকে ব্যবসা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
জান্নাতুল শুধু আর্থিক সহায়তা দেননি, দিয়েছেন মানসিক সমর্থন, ব্র্যান্ডিং পরামর্শ, মার্কেটিং সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক মেলায় অংশ নেওয়ার সুযোগ। অনেকেই আজ সফলভাবে বিদেশে পণ্য রপ্তানি করছেন।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় তিনি চাচ্ছেন একটি সমন্বিত কো–ওয়ার্কিং স্পেস তৈরি করতে, যেখানে উদ্যোক্তারা নিজেদের স্টোরেজ, প্যাকেজিং, ডেলিভারি থেকে শুরু করে ব্যবসার সব কাজ এক জায়গা থেকে করতে পারবেন। একই সঙ্গে তিনি ই–কমার্স খাতে সরকারি অংশীদারত্বে নিরাপদ ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ গড়ে তুলতেও কাজ করতে চান।
জান্নাতুল হক প্রমাণ করেছেন, প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবসা শুধু বড় শহরেই নয়, পরিবারের পাশে থেকে এবং সামাজিক বাধা পেরিয়ে নারী উদ্যোক্তারা দেশ ও অর্থনীতির গতিপথ পাল্টে দিতে পারেন।
.jpeg)
Post a Comment