ফ্রিল্যান্সিং,দলগঠন,ফাইভার,টপরেটেড,বইলেখা – রাকিবের ঘরে বসে লাখপতি হওয়া!

 

  • বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছাড়ার পর রাকিব ফাইভার-ভিত্তিক কোর্স ও আর্টিকেল রাইটিংয়ে সফলতা পেয়ে এখন মাসে আয় করছেন ৭–১০ লাখ টাকা।

  • পরিবার ও গ্রামে থাকার ইচ্ছা থেকেই তিনি দেশে থেকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন, প্রথম মাসেই আয় করেন ১,০০০ ডলার।

  • ১২–১৫ জনের একটি দল গঠন করে এখন তিনি কোর্স, বই লেখার পাশাপাশি আমাজন হোলসেলেও সফলভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।


ফ্রিল্যান্সিং এখন আর শুধু বাড়তি আয়ের উপায় নয় — সঠিক দিকনির্দেশনা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে এটি হতে পারে প্রধান পেশাও। মো. রাকিব উদ্দীন, যিনি একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন, এখন একজন সফল পূর্ণকালীন ফ্রিল্যান্সার এবং উদ্যোক্তা। তিনি মাসে আয় করছেন ৭ থেকে ১০ লাখ টাকা। তাঁর এই যাত্রা শুরু হয় ফাইভার মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে।

শুরুটা হয় ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, যখন তিনি প্রথমবার এক হাজার ডলারের বেশি আয় করেন। এই ছোট সফলতাই তাঁকে উৎসাহ দেয় আরও বড় পরিসরে কাজ করতে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর প্রোফাইল ভারী হতে থাকে, অর্জন করেন ফাইভারে "টপ রেটেড সেলার" ট্যাগ। তিনি কোর্স ক্রিয়েশন, আর্টিকেল রাইটিং এবং বই লেখার মতো কাজ করেন, যা আজ পর্যন্ত ১০০০টিরও বেশি সফল প্রজেক্টে রূপ নেয়।

রাকিবের এই সাফল্যের পেছনে ছিল কঠোর পরিশ্রম, পরিবারের সমর্থন এবং তাঁর গ্রামে থেকে পরিবারের সঙ্গে থাকার দৃঢ় প্রত্যয়। তিনি বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়েও দেশ ছাড়েননি। শিক্ষকতা পেশা ভালোবাসতেন ঠিকই, কিন্তু অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কিছু আলাদা করার তাগিদ তাঁকে নতুন পথ খুঁজতে বাধ্য করে। আজ তাঁর রয়েছে ১২-১৫ জনের একটি নিজস্ব দল, যাঁরা একসঙ্গে কাজ করেন বই রচনার পাশাপাশি আমাজন হোলসেল বিজনেসে।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে রাকিব উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন—যে দেশেই থেকে, পরিবারকে পাশে রেখে, আন্তরিকতা ও দক্ষতা থাকলে বড় আয় করা সম্ভব। তাঁর গল্প নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে, যারা সীমিত সুযোগের মধ্যেও বড় কিছু করতে চায়।

Post a Comment

Previous Post Next Post