আজ রবিবার (১ জুন) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর ফলে, এই মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দ্রুত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা আপাতত সম্ভব হবে না।
গত এপ্রিল মাসে হাইকোর্ট এক আদেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী পাঁচ ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তারের অনুমতি চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কর্তৃক প্রেরিত চিঠির সিদ্ধান্ত এক মাসের জন্য স্থগিত করে দেন। একইসাথে, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ধরনের পদক্ষেপ কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে, যা আজ আপিল বিভাগে শুনানির জন্য আসে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী যুক্তি দেখান যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং চলমান আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে আনতে এই ধরনের পদক্ষেপ জরুরি। তবে, আপিল বিভাগ হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মোট ৭টি মামলা করে। এই মামলাগুলোতে মূলত ভাংচুর, মারধর এবং অন্যান্য শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছিল। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব মামলার তদন্তের জন্য পুলিশকে অনুমতি দেয় এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য আদালতে আবেদন করার প্রক্রিয়া শুরু করে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অবশ্য শুরু থেকেই দাবি করে আসছেন যে, তাদের আন্দোলন ছিল শান্তিপূর্ণ এবং তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তারা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আন্দোলন দমনের জন্য মামলা-হামলার আশ্রয় নিচ্ছে।
এই আদেশের ফলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাথে যুক্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। তারা মনে করছেন, এটি তাদের প্রতি হওয়া অবিচারের বিরুদ্ধে একটি প্রাথমিক বিজয়। তবে, মামলার চূড়ান্ত রায় না আসা পর্যন্ত আইনি প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।
Post a Comment