![]() |
ঢাকার একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কারখানায় ওষুধের কাঁচামাল প্রক্রিয়াজাতকরণ—শিল্প উৎপাদনের দৃশ্যপট। |
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (বাপি) সরকার ঘোষিত ওষুধের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ও ভ্যাট ছাড়ের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। বাপির সেক্রেটারি জেনারেল এস এম শফিউজ্জামান বলেন, এই পদক্ষেপ ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক এবং এটি শিল্পের বিকাশে সহায়ক হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্প্রতি ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস ওষুধ তৈরির কাঁচামাল আমদানিতে অগ্রিম কর ৫% থেকে ২% এ কমিয়েছে এবং ভ্যাট সম্পূর্ণ মওকুফ করেছে। এই উদ্যোগের ফলে ওষুধের উৎপাদন খরচ কমবে এবং রোগীরা সাশ্রয়ী মূল্যে ওষুধ পাবে।
এনবিআর ২০১৯ সালে অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস (এপিআই) ও ল্যাবরেটরি রিএজেন্টসের কাঁচামাল আমদানিতে ভ্যাট ছাড়ের ঘোষণা দেয়, যা ২০২৫ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এই সুবিধা পেতে কোম্পানিগুলোকে নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ করতে হবে, যেমন বছরে কমপক্ষে দুটি নতুন মলিকিউল উৎপাদন এবং ২০% মূল্য সংযোজন নিশ্চিত করা।
সরকার ২০৩২ সাল পর্যন্ত এপিআই উৎপাদনকারীদের কর অবকাশ সুবিধা দিয়েছে। এই সুবিধা পেতে কোম্পানিগুলোকে তাদের বার্ষিক টার্নওভারের ১% গবেষণা ও উন্নয়নে ব্যয় করতে হবে এবং গুণগত মান বজায় রাখতে হবে।
বাপি মনে করে, এই কর ও ভ্যাট ছাড়ের ফলে দেশীয় ওষুধ শিল্প আরও প্রতিযোগিতামূলক হবে এবং রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে বাংলাদেশে ওষুধ শিল্প ৯৮% অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করে এবং আন্তর্জাতিক বাজারেও অবস্থান সুদৃঢ় করছে।
৭ জুন ২০২৫
লেখক: Kazi Fahsin
প্রকাশক: নভোকণ্ঠ (Novonicle)
Post a Comment