ঢাকা, ২ জুন ২০২৫ – ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, কিন্তু ক্যাডার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত নন—এমন প্রার্থীদের জন্য সুখবর! বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) এবার নন-ক্যাডার পদগুলোতে নিয়োগের জন্য তাদের পছন্দক্রম (অপশন) আহ্বান করেছে। এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে ক্যাডার পদে সুযোগ না পাওয়া হাজারো তরুণ-তরুণীর সরকারি চাকরিতে প্রবেশের আরেকটি দুয়ার খুলে গেল।
আজ সোমবার (২ জুন) সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) নূর আহমদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৪৪তম বিসিএস-এর চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ হলেও ক্যাডার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হননি, এমন প্রার্থীদের মধ্যে যারা নন-ক্যাডার পদগুলোতে নিয়োগ পেতে আগ্রহী, তাদের কাছে পছন্দক্রম চাওয়া হচ্ছে।
পছন্দক্রম জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া ও সময়সীমা:
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নন-ক্যাডার পদগুলোর জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৩ জুন থেকে ৫ জুলাই তারিখের মধ্যে অনলাইনে পছন্দক্রম পূরণ করতে হবে। পিএসসির ওয়েবসাইটেই (www.bpsc.gov.bd) এ সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশনা পাওয়া যাবে। প্রার্থীরা তাদের যোগ্যতা এবং পছন্দের ভিত্তিতে বিভিন্ন নন-ক্যাডার পদ বেছে নিতে পারবেন।
কেন এই উদ্যোগ?
নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের এই প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মেধাবী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন বিপুল সংখ্যক উত্তীর্ণ প্রার্থীর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়, তেমনি অন্যদিকে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে শূন্য পদগুলো দ্রুত পূরণ করা সম্ভব হয়। ৪৪তম বিসিএসে প্রায় ২১০০ ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল। এর বাইরেও অনেক পদ শূন্য ছিল, যা এই নন-ক্যাডার প্রক্রিয়া মাধ্যমে পূরণ করা হবে।
নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের গুরুত্ব:
- মেধাবীদের কর্মসংস্থান: বিসিএস পরীক্ষায় হাজার হাজার প্রার্থী লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন, কিন্তু ক্যাডার পদের সংখ্যা সীমিত থাকায় সবাই সুযোগ পান না। নন-ক্যাডার পদগুলো তাদের জন্য সরকারি চাকরিতে প্রবেশের একটি বড় সুযোগ।
- সরকারি দপ্তরে জনবল পূরণ: সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং অধিদপ্তরে অনেক শূন্য পদ থাকে। নন-ক্যাডার নিয়োগের মাধ্যমে এই পদগুলো দ্রুত পূরণ করা যায়, যা সরকারি সেবার মান উন্নত করে।
- সময় সাশ্রয়: আলাদা নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন না করে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেওয়ায় সময় ও অর্থ উভয়ই সাশ্রয় হয়।
পিএসসি জানিয়েছে, পছন্দক্রম জমা দেওয়ার পর প্রাপ্ত আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে। আশা করা হচ্ছে, খুব দ্রুত এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে, যা ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটাবে।
Post a Comment