ঢাকা, ১ জুন ২০২৫ – এক বছর আগে চাকরিতে নিয়োগ পেয়েও প্রশিক্ষণ শেষে অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিশ উপপরিদর্শক (এসআই) পদের প্রার্থীরা তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে টানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। আগামীকাল সোমবার (২ জুন) থেকে তারা ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন এবং পর্যায়ক্রমে জাতীয় প্রেস ক্লাব ও পুলিশ সদর দপ্তরের সামনেও কর্মসূচি পালন করার পরিকল্পনা নিয়েছেন।
আজ রবিবার (৩১ মে) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই শিক্ষানবিশ এসআইরা তাদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। তাদের দাবি, পুলিশ সদর দপ্তরের গঠিত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী দ্রুত তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করা হোক।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এসআই পদপ্রার্থী নাফিজুল ইসলাম। তিনি জানান, ২০২৩ সালের ৮ জুন থেকে এই শিক্ষানবিশ এসআইদের ১ বছরের মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছিল। অত্যন্ত সফলভাবে তারা এই প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। এরপর পুলিশ সদর দপ্তরের তদন্ত কমিটি তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করে এবং তাদের পুনর্বহালের জন্য সুপারিশও করে। এর ভিত্তিতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল।
তবে, গত প্রায় এক বছর ধরে তারা তাদের পুনর্বহালের জন্য অপেক্ষা করছেন। নাফিজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, এতকিছু হওয়ার পরও তাদের পুনর্বহালের বিষয়ে চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হচ্ছে না। এই দীর্ঘসূত্রিতা তাদের মানসিক ও আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলছে।
এসআই পদপ্রার্থী মেহেদী হাসান বলেন, "আমরা এক বছর ধরে কঠিন প্রশিক্ষণ নিয়েছি এবং তাতে সফলও হয়েছি। আমাদের কোনো গুরুতর ত্রুটি পাওয়া যায়নি, বরং কমিটির সুপারিশে আমাদের পুনর্বহালের কথা বলা হয়েছে। এরপরও কেন আমরা নিয়োগপত্র পাচ্ছি না, এটা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়।" তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং বলেন, "মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি এই বিষয়ে সুদৃষ্টি দেন, তাহলে আমাদের হাজার হাজার পরিবার উপকৃত হবে।"
আন্দোলনকারী এসআইরা জানান, আগামীকাল সোমবার (২ জুন) সকাল ১০টা থেকে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেবেন। সেখান থেকে তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এই কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিশ এসআইরা অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, তাদের এই আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চলবে। দ্রুত চাকরিতে পুনর্বহাল না করা হলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। হাজারো পরিবারের ভবিষ্যৎ এখন এই সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল।
%20(11).jpeg)
Post a Comment