1. বিএসএফের নির্যাতন ও নদীতে ফেলে দেওয়া ঘটনা
2. উদ্ধার ও বিজিবি-পুলিশের মানবিক পদক্ষেপ
3. পূর্বের পুশ-ইনের ধারাবাহিকতা ও উদ্বেগ
খাগড়াছড়ির রামগড় সীমান্তে ঘটল এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। এক বাংলাদেশি পরিবার—স্বামী, স্ত্রী ও তিন কন্যাশিশু—ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে কাজ করার পর ফিরছিলেন। কিন্তু ফেরাটা স্বাভাবিক ছিল না। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাদের ধরে এনে মারধর করে, হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দেয়।
রাতে তাদের নদীতে ফেলে দেওয়া হয়, কোমরে খালি প্লাস্টিক বোতল বেঁধে দেওয়া হয় যেন ডুবে না যায়। সারারাত ভেসে থেকে ভোরে তারা বাংলাদেশের তীরে পৌঁছায়। বিজিবি সদস্যরা পরে তাদের উদ্ধার করে মানবিক সহায়তা দেন এবং রামগড় উচ্চবিদ্যালয়ে অস্থায়ীভাবে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়।
এই ঘটনার নায়ক উমেদ আলী জানালেন, শুধু শারীরিক নির্যাতনই নয়, বিএসএফ সদস্যরা তাদের মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সাও ছিনিয়ে নেয়।
বিষয়টি শুধুই বিচ্ছিন্ন নয়। এর আগেও খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা ও পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ ৮১ জনকে বাংলাদেশে পুশ-ইন করে। সীমান্ত এলাকায় এই ধরণের নির্যাতন শুধু মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়, বরং দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েনের আশঙ্কা সৃষ্টি করে।
Post a Comment