দেশের রাজনীতিতে আবার উত্তেজনা। নির্বাচন সামনে থাকলেই যেন দলগুলোর অবস্থান আরও কঠিন হয়ে যায়। কেউ বলছে নিরপেক্ষতা নেই, কেউ বলছে সংবিধানের বাইরে যাওয়া যাবে না। এই টানাপোড়েন শুধু রাজনৈতিক অঙ্গনে নয়—এর প্রভাব বিনিয়োগ, অর্থনীতি এমনকি সাধারণ মানুষের জীবনে গিয়েও লাগে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যেমন থমকে যায়, তেমনি বিনিয়োগকারীদের আস্থাও কমে। দেশি-বিদেশি কেউই অনিশ্চয়তার ভেতরে পুঁজি ঢালতে চায় না। ফলে, শুধু ভোট নয়—রাজনৈতিক সংলাপ আর অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়াও জরুরি হয়ে পড়ে।
এদিকে সরকারপ্রধানদের প্রতি চাপ বাড়ছে—স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, অবকাঠামোসহ বেশ কিছু খাতে দীর্ঘদিনের ব্যবস্থাপনা দুর্বলতা কাটানো দরকার। যেসব জায়গায় চিকিৎসক নেই, যেখানে সাবস্টেশন চালু থেকেও বিদ্যুৎ থাকে না—সেসব প্রশ্ন উঠছে এখন আরেকটু জোরালোভাবে।
তবে রাজনীতির চেয়ে বড় ইস্যু হয়ে উঠছে দুর্নীতি আর অর্থ পাচার। কেবল সমালোচনার জন্য না—মানুষ চাইছে দৃষ্টান্ত। বড় মাপের অর্থপাচার কিংবা জবাবদিহিতাহীন প্রশাসনের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে বিশ্বাস ফেরানো কঠিন হবে বলেই মত বিশ্লেষকদের।
আরেকদিকে উদ্বেগ বাড়ছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়েও। কোথাও সাংবাদিক নিখোঁজ, কোথাও হেনস্তা। মতপ্রকাশের জায়গা ছোট হয়ে এলে শুধু গণতন্ত্র নয়, মানুষও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে।
এই মুহূর্তে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুধু ক্ষমতার লড়াই না, সুশাসনের প্রশ্নেও হিসাব চাইছে মানুষ।
Post a Comment