বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪৮তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার জন্য এক বড় পরিবর্তন নিয়ে আসছে। জানা গেছে, এবার এই বিশেষ বিসিএসে মোট ৩০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে। পিএসসি'র একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। সাধারণত, বিশেষ বিসিএস পরীক্ষাগুলো তুলনামূলক কম নম্বরের হয়ে থাকে, তাই এই সিদ্ধান্তকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই নতুন সিদ্ধান্তের ফলে বিশেষ বিসিএসেও সাধারণ বিসিএস পরীক্ষার মতো পরীক্ষার কাঠামোর দিকে যাওয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। এর আগে, বিশেষ বিসিএসের জন্য সাধারণত ১০০ বা ২০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হতো। কিন্তু ৩০০ নম্বরের পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে প্রার্থীদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে, তবে এটি প্রার্থীর মেধা ও যোগ্যতার আরও পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাইয়ে সহায়তা করবে বলেও পিএসসি মনে করছে।
পিএসসি'র একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, "৪৮তম বিশেষ বিসিএস যেহেতু একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাডারের জন্য আয়োজন করা হচ্ছে, তাই আমরা চাচ্ছি যাতে যোগ্যতম প্রার্থীরাই নির্বাচিত হন। ৩০০ নম্বরের পরীক্ষা নিলে প্রার্থীরা তাদের প্রস্তুতি দেখানোর জন্য আরও বেশি সুযোগ পাবেন এবং আমরাও তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা আরও ভালোভাবে মূল্যায়ন করতে পারব।"
যদিও এখন পর্যন্ত পিএসসি'র পক্ষ থেকে ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের বিস্তারিত সিলেবাস এবং পরীক্ষার মানবণ্টন প্রকাশ করা হয়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে, সাধারণ বিসিএসের মতোই বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান, গণিত ও বিজ্ঞানের মতো বিষয়গুলো এখানে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তবে কোন ক্যাডারের জন্য এই বিশেষ বিসিএস আয়োজন করা হচ্ছে, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
এই ঘোষণার পর থেকে বিসিএস পরীক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই ৩০০ নম্বরের পরীক্ষা নিয়ে নিজেদের প্রস্তুতির কৌশল পরিবর্তন করার কথা ভাবছেন। বিশেষ করে, যারা কেবল নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের ওপর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তাদের এখন আরও বিস্তৃত পরিসরে পড়াশোনা করতে হবে।
পিএসসি দ্রুতই এই বিষয়ে বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে পরীক্ষার সুনির্দিষ্ট মানবণ্টন এবং সিলেবাস সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। এই পরিবর্তন বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার মানকে আরও উন্নত করবে এবং যোগ্য প্রার্থীরাই সরকারি চাকরিতে আসার সুযোগ পাবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
Post a Comment