এক চরম ভয়াবহ ঘটনায় পুরো শহরজুড়ে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে একসঙ্গে ১৭টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় পুলিশ নড়েচড়ে বসেছে এবং দ্রুত তদন্ত শুরু করেছে। কী ঘটেছিল, কারা এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে জড়িত, নাকি অন্য কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে – তা নিয়ে চলছে ব্যাপক জল্পনা।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৭ মে) সন্ধ্যায় শহরের একটি নির্জন এলাকায় অবস্থিত দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা ওই বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহগুলো উদ্ধার করে। এলাকার বাসিন্দারা জানান, বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরেই ফাঁকা ছিল এবং কোনো জনসমাগম সেখানে দেখা যেত না। সম্প্রতি বাড়িটির পাশ দিয়ে যাওয়া কয়েকজন পথচারী পচা গন্ধ পেয়ে সন্দেহ করে পুলিশকে খবর দেন। এরপরই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, তারা বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে হতভম্ব হয়ে পড়েন। ঘরের ভেতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল ১৭টি মরদেহ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মরদেহগুলো পচে বিকৃত হয়ে গেছে, যা দেখে বোঝা যাচ্ছে যে হত্যাকাণ্ডটি বেশ কিছুদিন আগেই ঘটেছে। তবে মরদেহগুলো নারী, পুরুষ নাকি শিশু - সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং মরদেহগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি কোনো সিরিয়াল কিলারের কাজ হতে পারে। আবার কেউ কেউ মাদক চক্রের অভ্যন্তরীণ কোন্দল বা মানব পাচারের সঙ্গে এর যোগসাজশ থাকতে পারে বলেও সন্দেহ করছেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা সকল দিক খতিয়ে দেখছেন। বাড়ির মালিকানা, সাম্প্রতিক সময়ে এই এলাকায় কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেছে কিনা, নিখোঁজ ডায়েরি – এসব বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজও পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে তারা কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চান না, কারণ এটি একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং জটিল ঘটনা।
ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয়রা ভিড় জমাচ্ছেন বাড়ির আশেপাশে, কিন্তু কাউকে কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এই ১৭টি মরদেহের রহস্য উদঘাটনই এখন পুলিশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। পুরো শহরের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে এই ঘটনার পেছনে লুকিয়ে থাকা আসল সত্য জানার জন্য।
.jpeg)
Post a Comment