আন্তর্জাতিক মঞ্চে পুরনো মিত্রতা, নতুন উত্তাপ”


 

বিশ্ব রাজনীতির পালে যেন নতুন হাওয়া লাগতে চলেছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ চীন, ভারত ও রাশিয়ার ত্রিপাক্ষিক সহযোগিতা আবার শুরুর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। অনেকে বলছেন, এটা আন্তর্জাতিক ক্ষমতার ভারসাম্যে এক ধরনের নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত। আগেও এই তিন দেশ কিছু আলোচনায় একসাথে বসেছে, তবে এখন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা আর কূটনৈতিক চাপের মধ্যে বিষয়টা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক তো তিক্তই ছিল, সেটি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। মার্কিন সরকারের নতুন কিছু পদক্ষেপের কারণে লাখো চীনা শিক্ষার্থী পড়েছেন বিপাকে—ভিসা জটিলতা, অ্যাডমিশন বাতিল, এমনকি আর্থিক সহায়তা আটকে যাওয়ার অভিযোগও উঠছে। বিষয়টা শুধু দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নয়, বরং সরাসরি প্রভাব ফেলছে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ, পরিবারের স্বপ্ন আর বৈশ্বিক শিক্ষাব্যবস্থার ওপর।

আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের পর মানবাধিকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। নারীদের কাজ-কর্ম, লেখাপড়া, চলাফেরা—সবকিছুতেই সীমাবদ্ধতা। এ নিয়ে এখনো তীব্র উদ্বেগ রয়েছে জাতিসংঘসহ নানা মহলে।

এদিকে, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে চলছে এক অদ্ভুত ধরনের যুদ্ধ—তথ্যের। কেউ বলছে সাইবার যুদ্ধ, আবার কেউ বলছে প্রপাগান্ডা যুদ্ধ। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে উড়ে যাওয়া তথ্যবাহী বেলুন আর উত্তর কোরিয়ার প্রতিক্রিয়া—সব মিলে এক ভিন্ন যুদ্ধের চিত্র দেখা যাচ্ছে। কিম জং উন আদৌ ‘জয়ী’ হচ্ছেন কিনা তা নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ।

এত কিছু যখন চলছে, তখন পরিবেশ নিয়ে আশঙ্কাও বাড়ছে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে গড় তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে। আর সেটা হলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আরও ভয়াবহ হতে পারে। শস্য উৎপাদন, বন্যা, খরা—সব জায়গায় এর প্রভাব পড়বে।

এমন অবস্থায় বড় বড় কোম্পানিগুলোরও নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। বিশ্বজুড়ে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি, নির্গমন কমানো আর টেকসই ব্যবসার মডেল তৈরির কথা উঠছে। প্রশ্ন হলো—এই পরিবর্তনের জন্য কোম্পানিগুলো আদৌ প্রস্তুত তো?


Post a Comment

Previous Post Next Post