পবিত্র হজের মূল পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ৪ জুন, মঙ্গলবার। এই দিন থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান মক্কা নগরীতে একত্রিত হবেন। হজ পালনের উদ্দেশ্যে এরই মধ্যে বহু হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছে গেছেন। বাকিরাও দ্রুতই নির্ধারিত ফ্লাইটে সৌদি আরবে পৌঁছাতে শুরু করবেন।
হজ ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, এই বছর প্রায় ২৫ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজ পালন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৮৫ হাজার হজযাত্রী রয়েছেন। পবিত্র হজের এই বার্ষিক সম্মেলন মুসলিম উম্মাহর একতা ও ভ্রাতৃত্বের এক বিশাল নিদর্শন।
হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে ৪ জুন মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে। এরপর ৫ জুন আরাফাতের ময়দানে অবস্থান, যা হজের মূল رکن। এই দিনটাকে বলা হয় 'হজের দিন' বা 'ইয়াওমুল আরাফা'। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে আল্লাহর কাছে দোয়া ও ইস্তিগফার করবেন হাজিরা। এরপর মুজদালিফায় রাত যাপন করে শয়তানকে পাথর মারার জন্য কঙ্কর সংগ্রহ করবেন।
৬ জুন অর্থাৎ ঈদের দিন শয়তানকে পাথর মারা, কোরবানি করা এবং মাথা মুণ্ডনের মধ্য দিয়ে হজের প্রথম ধাপ সম্পন্ন হবে। এরপর তাওয়াফে জিয়ারত করে হাজিরা হালাল হবেন। এরপর তারা আরও দুই বা তিন দিন শয়তানকে পাথর মারবেন। সব মিলিয়ে প্রায় ৫ থেকে ৬ দিন ধরে এই আনুষ্ঠানিকতা চলবে।
সৌদি সরকার ও হজ কর্তৃপক্ষ হজযাত্রীদের নির্বিঘ্ন হজ পালনের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। মক্কা, মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফায় নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবাসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। হজযাত্রীরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের ইবাদত সম্পন্ন করতে পারেন, সেজন্য সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
Post a Comment